English

29 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

পদ্মা সেতু করে ফেলব অনেকে ধারণাই করেনি: প্রধানমন্ত্রী

- Advertisements -

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব সারা দেশে হোক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসব কেবল পদ্মা পারেই হবে না, সারা দেশের প্রত্যেক জেলায় এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মহোৎসব হবে। কারণ এটা ছিল আমাদের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পল্লী জনপদ, রংপুর এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বাপার্ড), কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় অর্থনীতি জোরদারে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখবে। আমি দক্ষিণাঞ্চলের জনগণকে উন্নত জীবন উপহার দিতে আমরা চাই।

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গে তিনি সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেতু উদ্বোধনের পর সেখানে গাড়ি নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কেউ যেন না করেন। যাতে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে খরস্রোতা নদীগুলোর অন্যতম এই পদ্মায় বাংলাদেশ যে সেতু নির্মাণ করতে পারে সেটা অনেকেরই ধারণায় ছিল না। তারপর আবার সেতুটি একটি দ্বিতল সেতু, নীচ দিয়ে ট্রেন এবং ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। যেটা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ এবং পৃথিবীতে এ ধরনের কাজ বোধ হয় এটাই প্রথম। এখানে যে ধরনের মেশিনারিজ ব্যবহৃত হয়েছে, সেটাও বোধ হয় আর কোথাও হয়নি। আর এই সেতু নির্মাণে যে বাধা-বিপত্তি ছিল সেটাও আপনারা জানেন।

পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখানে (রাষ্ট্র পরিচালনায়) দুর্নীতি করতে আসিনি। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ এবং বিশ্ব ব্য্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগের পেছনে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের যোগসাজসের অভিযোগ পুনরায় উত্থাপন করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা আমিই তাকে দিয়েছি। যেমন গ্রামীণ ফোন, এই ব্যবসাটা আমার আমলে আমি তাকে দিয়েছিলাম এবং তাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তারই বেঈমানির কারণে এই পদ্মা সেতুর টাকা বিশ্ব ব্যাংক বন্ধ করে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক যখন একেবারে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছিল তখন সেই গ্রামীণ ব্যাংক চালু রাখার জন্য ’৯৮ সালে সরকার ৩ ধাপে ৪শ’ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংকটা চালু রাখার সুযোগ করে দেই। অথচ সে সময় দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল এবং রিজার্ভের অবস্থাও ভালো ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দেয় তখন দেশবাসী সে সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে এসেছিল। তিনি অনুষ্ঠানে দেশবাসীর প্রতি ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, সেই সময় দেশবাসীর থেকে অভূতপূর্ব সাড়া যদি আমি না পেতাম তাহলে এটা আমি করতে পারতাম না। এটাই আমাকে সাহস জুগিয়েছিল, শক্তি জুগিয়েছিল। কারণ মানুষের শক্তিতেই আমি বিশ্বাস করি।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একটি ভিডিও চিত্রও প্রর্দশন করা হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন