‘নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়। আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করে যেতে হবে। আজকের গণতন্ত্র আদর্শিক গণতন্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্র গড়ে ওঠার পর গণতন্ত্রের বিকাশ হয়েছে ।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।
এনআইডি কার্ড প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয়, আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি, কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি, তাহলে আমাদের টলারেন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।
তিনি বলেন, এখন এনআইডির বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডির বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়। ভোটারের বিষয় যখন হয় তখন প্রতিনিধিত্বের বিষয় আসে। আমরা ইতিহাস বেশি জানি না। আগে কলোনি ছিল, তার আগে রাজত্ব ছিল, ভোটাধিকার ছিল না। ব্রিটিশরা এসে ভোটাধিকার দিলো। সবচেয়ে বড় নির্বাচন হয় প্রথম ১৯৩৫ সালে।
তিনি আরও বলেন, ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ। ভোটকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আমরা স্বাধীনতা পেলাম। এরপর সংবিধান পেলাম, যেখানে নির্বাচনের বিষয়টা আছে। নির্বাচন করতে গেলে ভোটারের প্রয়োজন হয়। এতে ভোটারের রায়েই যেন প্রতিনিধিত্ব আসে সেটাই লক্ষ্য ছিল।
সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংস্থাটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।