আইনি ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচনের সব কার্যক্রম লকডাউন বহির্ভূত থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আজ শনিবার (২৪ জুলাই) সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট -৩ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। এসময় তিনি বলেন, ‘সিলেট-৩ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি মহামারি করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে সবকিছুই করছে কমিশন। এতে কারো কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।
সিলেট-৩ আসনটি দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এতে ৩ লাখ ৩০ হাজারের মতো ভোটার রয়েছেন। ২৮ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক নেতা শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।