ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইসির সংস্কার কমিশন নির্বাচনী আচরণবিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ প্রদানের বিধান করা। এ ছাড়া আছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা এবং ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ইসির সংস্কার কমিশন নির্বাচনী আচরণবিধি পরিবর্তনে যেসব সুপারিশ করেছে, সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচনা করেই কাজের নির্দেশনা দেবেন ইসি।
তবে আমরাও প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যাতে নির্দেশনা এলেই দ্রুত কাজগুলো করতে পারি।
এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত সুপারিশে বলা হয়েছে, একটি স্থায়ী ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার জন্য আইন সংশোধন করা। সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের এবং মেম্বার বা কাউন্সিলরদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্থবহ ভূমিকা নিশ্চিত করার বিধান করা ইত্যাদি।
জানতে চাইলে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দুর্বৃত্ত ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে চারটি অংশীজন। বল এখন তাদের কোর্টে।প্রথম হচ্ছে সরকার। তারপর নির্বাচন কমিশন। তৃতীয়টি হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এর সবচেয়ে বড় অংশীজন হচ্ছে সাধারণ জনগণ। তবে সাধারণ জনগণ সোচ্চার হলে সব কিছুই হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনব্যবস্থার সুপারিশ নিয়ে যেসব প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা ইতিবাচক। নির্বাচন কমিশনও এটা ভালোভাবে নিয়েছে। সামনের দিনে নির্বাচন কমিশন যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে জন্য আইনি কাঠামো তৈরি এবং অতীতের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য দায়বদ্ধতার সুপারিশ করেছি।
নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত ৩ অক্টোবর কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ জানুয়ারি কমিশন তাদের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে।