ঢাকা: দেশের ৩০ শতাংশ জনগণ কিশোর-কিশোরী। তারাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় আসবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকলে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ ভালো থাকবে। আমরাও তাদের জন্যই কাজ করছি। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল তৈরি হয়েছে এবং বড় বড় রাস্তাঘাট, হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে কাদের জন্য? আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেই এ কাজগুলো করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের আমরা ভালোভাবে গড়ে তুলতে না পারলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তেমন বেশি নেই। আমাদের দেশের জনগণ- ভবিষ্যৎ প্রজন্মই এদেশের সম্পদ। তারাই দেশ গড়ছে, তারাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ জনগণ এই আমাদের দেশের মূল চালিকা শক্তি এবং সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই তাহলে, তাদেরকে নিরাপদে রাখতে হবে। তাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি এগুতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, পাশাপাশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যসেবা। কারণ, একটি অসুস্থ জাতি কখনো এগুতে পারে না। একটি অসুস্থ জাতি দেশকে কখনো উন্নত করতে পারে না। এজন্যই স্বাস্থ্যসেবা খুবই প্রয়োজন।
জাহিদ মালিক আরও বলেন, আমাদের দেশের ৩০ শতাংশ জনগণ কিশোর-কিশোরী। এরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় আসবেন। ৩০ শতাংশ জনগণকে যদি আমরা দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি হবে।
এ সময় দেশে এখনও ৫০ শতাংশ বাল্যবিবাহ হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ বাংলাদেশে একটি সমস্যা। এই সমস্যার নানা কারণ রয়েছে। যেমন- অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কারণ। এই কারণগুলো আমরা দূর করতে চাচ্ছি। এখনো পরিসংখ্যানে আমরা পাই দেশে পঞ্চাশ শতাংশ বাল্যবিবাহ হয়। বাল্যবিবাহের কারণে তারা তাড়াতাড়ি গর্ভধারণ করে। একটি শিশু যদি আরেকটি শিশুর জন্ম দেয় তাহলে দুজনেরই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। বাল্যবিবাহ কমাতে আমাদেরকে সামাজিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।