পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের স্থায়ীত্ব নির্ভর করছে আমাদের প্রত্যেকের আচরণের ওপর। দুই সপ্তাহ বাসায় বসে থাকা খুব বেশি কিছু না, যদি এর জন্য আমরা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারি। দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না, জরুরি কাজ একটু কমান। এ মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করবো কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কর্তৃক দুস্থদের মাঝে খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, বর্তমানে আমরা করোনা অতিমারির কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাক বাহিনীকে আমরা পরাজিত করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ দুর্যোগও মোকাবেলা করতে পারবো। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় নামবেন না।
তিনি বলেন, অনেকের বাসায় থাকতে ভালো লাগে না, বাসায় বিরক্ত লাগে বলে বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকে আবার ‘লকডাউন’ কেমন হচ্ছে তা দেখার জন্য বের হচ্ছেন। দয়া করে এ কাজগুলো করবেন না। আসেন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে নিরাপদ করি। আমরা বের হয়ে আক্রান্ত হবো এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আক্রমণ করবো এটা ঠিক না।
তিনি আরো বলেন, আইসিউ বানালেই কিন্তু আইসিউ চালানো যায় না। আমাদের হাসপাতাল নিয়ে অভিজ্ঞতা আছে। আইসিউ’র জন্য বিশেষায়িত ডাক্তার-নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ দরকার। আপনি চাইলে আইসিউ বেড কিনতে পারবেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বানাতে পারবেন না। সম্ভব হলে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ট্যাংক বসিয়ে লাইন করে দেওয়া উচিত। তাতে একটা ট্যাংক থেকে অনেক রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় ৪০ লাখ পরিবার বসবাস করে। প্রত্যেক পরিবার থেকে যদি এক প্লেট করেও খাবার দেয়া হয় তাহলে ৪০ লাখ মানুষ খাবার পাবে। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলো আমাদেরই কমিউনিটির অংশ। তাদেরকে সাথে নিয়েই বাঁচতে হবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন।