ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা দেয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা। রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার ভারতীয় সমকক্ষকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরো দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এদিন টানা তৃতীয়বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিশেলস-এর শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ পরে একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন।
পরে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এর প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
এর আগে রবিবার সকালে শেখ হাসিনা বিজেপির সিনিয়র নেতা এল কে আদভানির সঙ্গে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে দেখা করেন এবং কুশল বিনিময় করেন। বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তার সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানান।