ইংরেজি বছর বিদায়ের রাত অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে বড় দিন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের চার্চসমূহের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে চার্চসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে৷ চার্চসমূহের প্রবেশপথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে৷ যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধকল্পে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে৷
মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ নবাবগঞ্জ, কালীগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চার্চসমূহে ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে৷ ২৫ ডিসেম্বর ‘বড়দিন’ ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে৷
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিধায় থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানসমূহে কোনো ধরনের গান-বাজনার অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না৷
তিনি আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে বাঁশি বাজানো, পটকা ফুটানো বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে৷ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে৷
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার করে কেউ যেন রাস্তাঘাটে জন অসন্তুষ্টির কারণ ঘটাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।