ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রিতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিস্তা চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতটুকু করতে হয় ততটুকুই করব। বাংলাদেশ তিস্তা নদীর ওপরে যে অধিকার সেই অধিকারের কথা বলতে, লিখিত দিতে একদম পিছপা হবো না। তিস্তা পাড়ের মানুষের সঙ্গে এবার কথা বলা হবে। জয়েন্ট রিভার কমিশন নেগোসিয়েশন করে কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষ কী চায় সেটা আমরা তুলে আনব। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘‘আমরা মানুষকে বঞ্চিত করে পানি দেব না।” সুতরাং আমার মানুষ কী চায় সেটাও টেবিলে যাতে আসে সেই ব্যবস্থাটা করব। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যে আইন আছে ১৯৯৭ সালের সেটাতে ৩৬টা অনুস্বাক্ষর লাগত। ১৭ বছর লেগেছে সেটি করতে। এটি বৈশ্বিক বাস্তবতা।’
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নদীর জীবন যাতে ঠিক থাকে, নদী নির্ভর মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকারটুকুর দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেব। আন্তর্জাতিক যে আইনগুলো আছে সেগুলো আমরা তুলে ধরব। বাংলাদেশের মানুষকে আশা হারালে চলবে না। দেওয়া না দেওয়া আমরা ক্ষমতার মধ্যে নেই। কিন্তু আমাকে তো সবসময় আমার কথা বলতে থাকতে হবে। সে কথাটা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তো আলোচনায় যেতেই হবে। তাদের সঙ্গে কুশিয়ারা, ফেনী নিয়ে চুক্তি আছে। গঙ্গাচুক্তি রিনিউ করার বিষয় আছে। ৫৪ অভিন্ন নদী ছাড়াও আরও কিছু অভিন্ন নদী আছে। অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব। তারা সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের বড় ভূমিকা আছে। ভারতের সঙ্গে আমরা অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখব। আমাদের যে দাবি-দাওয়া সেগুলো আমরা জোরালোভাবে পেশ করব। আমরা হয় আন্তর্জাতিক মণ্ডলেও কথা বলব যে এটি ন্যায্য দাবি। জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই তাদের যে ন্যায্য দাবির ব্যাপারে, বাংলাদেশের যে নদীগুলোর জীবন বাঁচানোর ব্যাপারে আমাদের যা বলার বলব। আমরা ইতোমধ্যে বলেছি।’