তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোতে শেরিং। আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে দুই নেতার সম্মানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই সফর করছেন ডা. লোতে শেরিং।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, কভিড মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের প্রতি আন্তরিক ও বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধিদল সফরে আসছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফর শেষে ভুটানে ফিরে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিদলের সবাই ২১ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি ভুটানের মহামান্য রাজা ও জনগণের প্রার্থনা ও আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, সরকারি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার সুযোগ সব সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু এবারের সফরের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানো।
সফরসূচি অনুযায়ী, আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছার পর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এরপর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। লোতে শেরিং আজ সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এরপর বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁর।