তারেক রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক জিয়ার হুকুমে দেশে আগুন সন্ত্রাস হচ্ছে। তারেক জিয়ার কিচ্ছু হবে না। সে জুয়া খেলে ভালোই থাকবে। কিন্তু যারা তারেকের হুকুমে আগুন সন্ত্রাস করছে, তাদের পাপের ভাগিদার হতে হবে। মানুষ আগুন সন্ত্রাসের প্রতিশোধ নেবেই।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের নেতা কে? যারা আমাকে মারতে চেয়েছিল? অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও আমি তাদের বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি। তারেক জিয়ার কিচ্ছু হবে না। সে জুয়া খেলে ভালোই থাকবে। সে তো দেশেই আসে না। সাহস থাকলে দেশে আসুক।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটায় ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সুসংহত করতে চাই আমরা। সব প্রার্থী ভোটারদের কাছে যাবেন। তাদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করবেন। দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তখন তারা সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, ওরা সন্ত্রাসী। ওরা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে চলছে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারলে, দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে, মানুষ নিজের পছন্দমতো ভোট দিতে পারলেই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকবে। দেশটা এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াতের হাতে এই দেশ কখনো নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশরক্ষা করার আহ্বান জানাই সবাইকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘৭৫-এর পর সাধারণ মানুষের নয়, ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছিল ঘাতকদের। দেশের মানুষই আমার পরিবার, তাদের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছি। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার রাজনীতি জাতির পিতার মেয়ে করে না বলেই সেই নির্বাচনে হারতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০০৯-২৩ এই বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, সব সূচকেই দেশ এগিয়ে গেছে অভূতপূর্বভাবে। উন্নয়নের ধারাটা বজায় রাখতে হবে। বিএনপি অতীতের মতোই নির্বাচন ঠেকানোর নামে ভয়ংকরভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে চলেছে। মনুষ্যত্ববোধ থাকলে বিএনপি এসব করতে পারতো না।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় হবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট চাই, সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবেন।
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে একবারই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল, আমরা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি।
জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আমরা আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। ওই সন্ত্রাসী বিএনপি আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে এদেশ কোনোদিনই নিরাপদ নয়। কারণ, এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না।
বিএনপি-জামায়াত তথা অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।