উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে মিছিল নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে এসে সড়কে বসে পড়েন তারা। এ সময় তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ঘিরে পুলিশ ও কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. ক্যাটাগরি পুনর্বিবেচনা তিনটি থেকে দুটি করা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ:
ক্যাটাগরি-এ কর্মে অক্ষম
যেসব আহত যোদ্ধা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন (যেমন- পঙ্গুত্ব, চোখ হারানো, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে গুরুতর আহত), তাদের জন্য- মাসিক ভাতা: ২০,০০০ টাকা।
এককালীন অনুদান : পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এককালীন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
কর্মসংস্থান : পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধাসরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্যাটাগরি-বি (কর্মে সক্ষম)
যেসব আহত যোদ্ধা সুস্থ হয়েছেন, সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন এবং স্থায়ীভাবে কর্মক্ষম থাকবেন, তাদের জন্য মাসিক ভাতা ১৫,০০০ টাকা।
* এককালীন অনুদান : পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এককালীন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
* কর্মসংস্থান : প্রশিক্ষণ ও সরকারি বা অধা-সরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন
আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। এই আইনের আওতায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতে হবে।
৩. ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু
আহত ও শহীদ পরিবারের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ২৪/৭ টোল-ফ্রি হটলাইন চালু করতে হবে।