ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে অনেককে ভাত খাওয়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর ডিবি কার্যালয়কে ‘ভাতের হোটেল’ বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘এটা রসবোধের প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধসম্পন্ন জাতি। সাহিত্যে রসবোধের প্রয়োগ আমাদের মনের খোরাক জোগায়। আমি মনে করি, এটা রসবোধপ্রবণ একটি বিষয় যে ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান।’
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এতে আমরা উৎসাহিত হই। মানুষ আসছে, কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি, পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানায় যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি, আমার এখানেই শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।’
ডিবির হারুন বলেন, ‘আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে, আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি, এটা আমাদের দায়িত্ব। আর ডিবি যে মানবিক পুলিশিং করে, এটার উদাহরণ হচ্ছে যে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি। ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারও বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এইটা তো খারাপ কিছু না।’