নয়দিনের জার্মানি সফরে যাচ্ছেন মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তা। তিনি বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতে এ সফরে যাচ্ছেন বলে কিছু মাধ্যমে প্রচার হলেও পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিছানার চাদর কিনতে নয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কেনার প্রক্রিয়ায় রঙের মান যাচাইয়ে এ সফরে যাচ্ছেন আইজিপিসহ ওই তিন কর্মকর্তা। বিছানার চাদর কেনা হচ্ছে দেশীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। রঙটা আসবে জার্মানি থেকে। সেজন্য ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ করতে এই সফরের আয়োজন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই সফরের বিষয়ে একটি আদেশ জারি করে। তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশের একটি কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। ওই আদেশ অনুযায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদ ছাড়াও দুজন কর্মকর্তা জার্মানি যাচ্ছেন। অন্য দুজন হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম। তারা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নয়দিনের সফরে জার্মানি যাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদারের সই করা ওই আদেশে বলা হয়, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের (ডাবল) শিপমেন্টের জন্য (জাহাজীকরণ) ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে’ অংশ নিতে তিন কর্মকর্তা এই সফরে যাবেন।
অফিস আদেশের শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে, ওই পরিদর্শনমূলক সফরের সব খরচ আয়োজক বহন করবে এবং এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক যোগ থাকবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জার্মানি থেকে বিছানার চাদর কেনার বিষয়টি ঠিক নয়। এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের অর্ডারটা পেয়েছে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান। দেশীয় সেই প্রতিষ্ঠান রঙ নেবে জার্মানের একটি কোম্পানি থেকে। ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ চলমান একটা প্রক্রিয়া। এটার জন্যই আইজিপির জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জার্মানি সফরের খরচ বহন করছে দেশীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শন দলের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। পুলিশের সদস্যরাই এসব বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশটির অনুলিপি পররাষ্ট্র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের ব্যক্তিগত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন-১), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অভিবাসন) ও জননিরাপত্তা বিভাগের প্রোগ্রামারের কাছে পাঠানো হয়েছে।