দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং সরকারকে সবক্ষেত্রে অসহযোগিতা করার জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। তাদের কর্মসূচির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা অসহযোগ আন্দোলন করছেন, বাসা-বাড়িতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে, তাদের ভাবা উচিত।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গ্যাস বিল না দিলে, বিদ্যুৎ বিল না দিলে, পানির বিল না দিলে—ওয়াসা এবং বিদ্যুৎ বিভাগ যা অন্য গ্রাহকের ক্ষেত্রে করে, তাদের (বিএনপির নেতাকর্মী) জন্যও সেগুলো করবে। সেটি তাদের চিন্তার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব কিছু যখন ঠিকঠাক মতো চলছে, এত কিছু করার পরও যখন মানুষ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে, যখন মানুষ একটা উৎসবমুখর পরিবেশের দিকে ধীরে ধীরে যাচ্ছে; আমাদের দেশে নির্বাচন কিন্তু সব সময় একটা উৎসবমুখর পরিবেশে যে যার প্রার্থীকে ভোট দেয় এবং সেই প্রার্থীর তারা জয়গান করেন, আনন্দ মিছিল করেন—সেই জায়গাটিতে চলে যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে এখন ভোটের আমেজ চলে এসেছে, তখন তারা ঘোষণা করছেন অসহযোগ।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি কিন্তু সব সময় বলে আসছি, তারা সুনিশ্চিত এ দেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না। দেশের জনগণ তাদের কর্মকাণ্ডে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্রমাগতভাবে কর্মসূচি দিয়ে যাতে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করা যায় এবং নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য একটা অবস্থার সৃষ্টি করছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি মনে করেন, এটাই সরকার বদলানোর একমাত্র উপায়। সে জন্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছে, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। দেশের ৪৩টির মধ্যে ২৯টি দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যতটুকু আমরা নির্বাচন থেকে জেনেছি।’
বাস-ট্রেনে চলমান নাশকতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তারা ক্রমাগতভাবে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ করে, হেলপারসহ পুড়িয়ে, তারপর এখন শুরু করেছি রেললাইন উপড়ে ফেলে দেওয়া। যাতে শত শত মানুষ… আল্লাহ তায়ালাই রক্ষা করেন; দুর্ঘটনার ভয় থেকে যেত, যায়। চারজন মানুষকে আপনারা দেখেছেন, চলন্ত গাড়িতে কীভাবে তারা পুড়িয়ে মেরেছে। এর আগেও গাজীপুর এলাকায় একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ধরনের নাশকতা তারা ক্রমাগতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আরেকটু মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ৯০ দিন ক্রমাগতভাবে তারা এসব করেছে।
আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে, জায়গায় জায়গায় রাস্তাঘাট কেটে দিয়েছে। এখন আবার একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সে জন্য পাঁয়তারা করছে।’