স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে দল বেঁধে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির কোনোরকম তোয়াক্কা না করে যেভাবে ফেরি পারাপার হচ্ছে তা একেবারে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের শামিল।
আজ সোমবার দুপুরে দেশের চারটি বর্ডার এলাকার বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে ‘ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় করণীয়’ বিষয়াদি নিয়ে জরুরি দিক নির্দেশনামূলক এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রতিদিন হাজারও মানুষ মারা যাচ্ছে। ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন নেপালে ছড়িয়ে গিয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এরকম ক্রিটিক্যাল সময়ে এই ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার-পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, শহরাঞ্চলেও মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরে শপিংমলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ চলাফেরা করছে।
তিনি বলেন, বর্ডার এলাকার ভারত যাতায়াতকারী ব্যক্তির পরিবারহ সব মানুষকে দ্রুত ও বাধ্যতামূলক কভিড পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। বর্ডার এলাকার যানবাহন নিজ জেলার বাইরে মুভমেন্ট যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্ডার এলাকার চারটি বিভাগ রংপুর, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, বর্ডার এলাকা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ অন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেন ও তাদের মতামত শোনেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভার আলোচনায় আরো অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ অন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তারা।