জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নিজেদের কাছে রাখতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন ইসি মো. আলমগীর। এজন্য শিগগিরই একটি চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত চাইবে সংস্থাটি।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এনআইডি অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এজন্য আইন করার কাজ চলছে। এটি পাস হলেই এনআইডির সব কিছু নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে।
এ ব্যাপারে তো নতুন পদক্ষেপ নেই মো. আলমগীর বলেন, আমি যতটুক জানি কর্মকর্তাদের সমিতি থেকে আবেদন দিয়েছিল। আমরা বলেছি যে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। কমিশন সবার কাছে সবকিছু পাঠাতে পারে না। নিয়মকানুন আছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। তার অনুলিপি হয়তো সুরক্ষা বিভাগে পাঠাব। এটুকুই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আমরা বলব যে কর্মকর্তারা বিষয়টি আবেদন করেছেন। তাদের এ বিষয়টির বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। কমিশনে থাকবে, না ওখানে চলে যাবে বিষয়টাই বিবেচনার জন্য বলা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কথা বলেছি। কথা বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা এখানে থাকার কতগুলো ভালো দিক আছে। আবার জিনিসটা হলো সরকারের জিনিস। আমাদের কাছে দিয়ে রেখেছিলেন, এখন সরকার নিয়ে যেতে চান, প্লাস, মাইনাস অনেক বিষয় আছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান, আমাদের গার্ডিয়ান, সরকারেরও গার্ডিয়ান; কাজেই আমরা উনার কাছেই পাঠিয়ে দিই উনি যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই হবে।
তিনি বলেন, সরকার প্রধান হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। উনিও অনেক বিষয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। কাজেই আমরা মহামান্যের কাছেই পাঠিয়ে দেব। উনি যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই করবেন। উনি যেটা ভালো মনে করবেন, সেটার সঙ্গেই আমরা একমত হব।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এনআইডি হস্তান্তর করার জন্য ইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে এনআইডি নিজেদের কাছে রাখার সুবিধা তুলে ধরে পাল্টা চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে তার কোনো জবাব না মিললেও নতুন আইন প্রণয়নের দিকেই যাচ্ছে সরকার।