মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আদালতের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যার রায় দ্রুত কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় কার্যকরে বিলম্বিত হচ্ছে। আদালতের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চাল হলে এই মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।’
সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আজ এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এমপি সভায় বিশেষ অতিথি হিসিবে অংশ নেন।
আকম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা আহসান ঊল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের রায় এখনো কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে যাতে রায় কার্যকর হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিষ্ঠিত হয়েদ্রাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে। এছাড়া আজ বাদ জুম্মা মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আজ দিনের শুরুতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পিতার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান এবং কবর জেয়ারত করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, মেহের আফরোজ এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্মরণ সভায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জীবন ও কর্মের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি টঙ্গী আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।
আজ বিকেলে কবরের পাশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ন প্রয়াত বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় সবাইকে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।