প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, সরকার সবাইকে টিকা দেওয়ার অংশ হিসেবে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়। এর আগে বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে (৩০ আগস্ট ২০২১) এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ টিকা মজুদ আছে। বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েছি। বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে কেবল ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি স্বাক্ষর করি। কিন্তু অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা প্রাপ্তির কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিকা সংগ্রহের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছ। সিনোফার্ম থেকে প্রদত্ত শিডিউল অনুযায়ী আগামী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসেবে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে। টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকা প্রদান কেন্দ্র ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট টিকা ক্যাম্পেইন চলাকালে একদিনে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) মোট দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জন।