English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে করোনায় বড় ক্ষতি হয়নি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

- Advertisements -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ও ব্যবসা সুরক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে কভিড-১৯ মহামারি দেশে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি। তিনি গতকাল সোমবার নিউইয়র্ক ভিত্তিক জনপ্রিয় সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেন, ‘বাংলাদেশ কভিড-১৯ এর শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগণ ও ব্যবসাগুলোর সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

নিচে শেখ হাসিনার সম্পূর্ণ নিবন্ধটি দেওয়া হলো:

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী : যাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তার প্রয়োজন তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে আমরা কভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলা করেছি। বাংলাদেশও কভিড-১৯ মহামারির শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও ব্যবসা উভয়কে সুরক্ষিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এর ফলে, মহামারিটি বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের মতো মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারেনি। আমরা এই মহামারি থেকে খুব দ্রুত উত্তরণ করছি এবং এক দশক আগে আমাদের যে অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ঘটেছিল, তা সচল রেখে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হই।

কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করা এবং এরপর ব্যবসাগুলোকে প্রণোদনা দেওয়া- যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

গত বছর মহামারির শুরুতে, সরকার হত-দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বয়োজ্যেষ্ঠ, অভিবাসী ও নিঃস-অসহায় নারীদের ত্রাণ দিয়েছে। আমরা খুব দ্রুত ৪ কোটি বা দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের মাঝে অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেই। মোট ২২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আমাদের জিডিপি’র প্রায় ৬.২ শতাংশের এই সহায়তা ২৮টি পৃথক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমরা আরো কয়েক শ কোটি মার্কিন ডলার ভ্যাকসিন ক্রয় ও অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যয় করেছি। ওমিক্রন ধরন এলে আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতি জনগণের সমর্থন অব্যহত থাকবে।

সরকারের নীতি হচ্ছে- ‘কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না।’ এই নীতির আলোকে ১৬.৮ মিলিয়ন পরিবারকে চাল, শিশু-খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আমরা বয়স্ক, অক্ষম ও নিঃস্ব-অসহায় নারীদের এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

আমার বাবা- এ দেশের জাতির পিতা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণে মহামারির আগেই আমরা গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণকাজ সম্প্রসারিত করি। কার্যক্রমটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের ব্যাপক অবদান রাখে।

এ ছাড়া সরকার করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও এর কর্মীদের নানাভাবে সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা ক্ষুদ্র-ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, বিশেষত নারী ও কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছি। পর্যটন শিল্পের কর্মীদেরও সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে। করোনার কারণে শাটডাউনে এ শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোও সহয়তা পেয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসার কর্মীদেরও আমরা কয়েক শ কোটি ডলার দিয়েছি।

কর্মীদের আর্থিক বোঝা লাঘবের জন্য, ওই ঋণগুলোর সুদ ঋণ-গ্রহীতা ও সরকারের মাঝে ভাগ করে নেওয়া হয়। গত বছর দুই মাসের জন্য এবং এরপর পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক ঋণের সকল সুদকে বস্তুত মওকুফ করে দেওয়া হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন