ভোটের মাঠের পরিবেশ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার যে প্রতিবেদন অথবা তাদের যে বক্তব্য কমিশনকে দিয়েছে এখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনে বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে যেহেতু গতকালের হরতালের পর বিএনপি আবারও তিন দিনের অবরোধ দিয়েছে সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনো অবনতি না ঘটে সেজন্য তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সতর্ক থাকছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করতেই এ বৈঠক।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সম্মেলন কক্ষে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, এসবির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের যেসব ধাপ রয়েছে তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কোনো পরিস্থিতি আসলে তারা কমিশনকে অবহিত করবে। তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
তফসিল প্রসঙ্গে জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল। তফসিলের পরিবেশও আছে। বিএনপির হরতাল ও আবরোধের বিষয়টি মাথায় রেখে ছক একেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে সামাল দেবে তার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচন আয়োজনে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই বলে ইসিকে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তথ্য উপস্থাপন করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর ক্যাপাসিটি কী আছে এসব নিয়ে বৈঠক হয়েছে। অতীতের নির্বাচনে তারা কীভাবে কাজ করেছিল সামনে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা কমিশনে উপস্থাপন করেছেন কমিশনও কিছু উপদেশ দিয়েছে। কেন্দ্রে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত হবে আনসার কীভাবে নিয়োজিত হবে, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভোটের মাঠে ব্যালট সকালে যাবে নাকি আগের দিন যাবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ইসি সচিব।