বাংলাদেশের স্বাধীনতা অন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এই আন্দোলন তার জীবনের প্রথম সংগ্রাম ছিল বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেন। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এক টুইটে এ কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাই-বোনদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া ছিল আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন। তখন আমার বয়স ২০ থেকে ২২ হবে।
শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েই থেমে থাকেননি নরেন্দ্র মোদি। তিনি এও বলেন, আমি এবং আমার সহকর্মীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্যগ্রহ আন্দোলন করেছিলাম।
এসময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও গুরুত্বারোপ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলে আমরা সহজেই লক্ষ্য পৌঁছাতে পারব।
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের ইতিহাস তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমাদের এমন সম্পর্ক তৈরি করতে হবে, যা কোনোভাবেই ভাঙবে না। কোনো কূটনীতির চালের শিকার হবে না।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে উপস্থিত হলে নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দুই দিনের ঢাকা সফরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নরেন্দ্র মোদি।
পরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন। পরে তিনি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে একাত্তরের লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে।
দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে শহীদদের আত্নার শান্তি কামনা করেন মোদি। স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর শেষে সৌধের আঙিনায় একটি অর্জুন গাছের চারা রোপণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।