রোহিঙ্গা ইস্যু ও অন্যান্য অগ্রাধিকার নির্ধারণে ড. খলিলুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকার বিষয়াবলী সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ড. খলিলুর রহমানকে।
তিনি হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে থাকাকালীন উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. রহমান ১৯৭৭ সালে প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন।
তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন।
তার কূটনৈতিক মেয়াদে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘে স্থায়ী মিশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটির স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মুখপাত্র ছিলেন।
১৯৯১ সালে ড. রহমান জেনেভায় জাতিসংঘ সচিবালয়ে আংকটাডের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিউ ইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান, এলডিসি প্রগ্রামের প্রধান এবং বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা সম্পর্কিত জাতিসংঘের আন্ত সংস্থা গ্রুপের সভাপতিসহ জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং ২০০১ সালের ব্রাসেলস এলডিসি সম্মেলনের জন্য কর্মসূচির খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এলডিসি রপ্তানির জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারও প্রবর্তন করেছিলেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন।