‘‘পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের পর তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নসহ একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। এছাড়াও সেচের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুরের পাম্প হাউজে পানির বিষয়টি অগ্রগতি হয়েছে। মহানন্দা নদীর পানি কমে যাওয়ায় যৌথভাবে সার্ভে করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।খুব পজিটিভ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
ভারতের সাথে পানিসম্পদ বিষয়ক সচিব পর্যায়ের বৈঠকের বিস্তারিত নিয়ে বুধবার (১৭ মার্চ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এ কথা বলেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কবির বিন আনোয়ার বলেন, “ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অতিথি হিসেবে আসবেন। তাছাড়া তাদের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে সামনে নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে ও এমন আবহে চুক্তি নিয়ে কিছু হবে বলে মনেকরছি না।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশ-ভারতের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। গত বছর ভারতীয় সচিবকে নিমন্ত্রণ জানালেও মহামারী করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। তাই বৈঠকটি গতকাল (১৬ মার্চ) নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়।
নদীকে বাঁচাতে দু’দেশ একমত উল্লেখ করে কবির বিন আনোয়ারের বলেন, ” আগে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ নিশ্চিত রাখতে হবে, তারপর পানি বন্টন। দু’দেশের বোঝাপড়ার ঘাটতি ঘোচাতে সার্ভে,পরিদর্শন,তথ্য সংগ্র্হ ইত্যাদি কাজগুলো যৌথভাবে হবে। অভিন্ন ৬টি নদীর তথ্যবিনিময় চূড়ান্ত পর্যায় আছে। শ্রীঘ্রই তা ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট হবে। পর্যায়ক্রমে অভিন্ন ৫৪ নদীকে নিয়ে আলোচনা হবে।”