রবিবার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এটি এই সিরিজের শেষ বুলেটিন। এরপর এই সিরিজের আর কোনো বুলেটিন প্রকাশ করবে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলে, ট্রলার/নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ আজ সকাল ৬টায় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। পরে বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে। সেন্ট মার্টিনে দুপুর আড়াইটার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। কাল যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন সিগন্যাল তুলে নেওয়া হতে পারে। মূলত পরিস্থিতি ফেভার করলে সিগন্যাল কমানো হবে। তা না হলে থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেকনাফ ও উখিয়ায়। ঘূর্ণিঝড়ে এ দুই উপজেলায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১২০০ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।