চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমি জিরো ট্রলারেন্স। আমি মনে করি, মাদকসেবী বেশি থাকার কারণে এখানে মাদকের চাহিদাও বেশি রয়েছে। মাদক কীভাবে বন্ধ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। গত কয়েকদিনে বেশ কিছু অভিযানে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।’
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দীন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ.স.ম মাহতাব উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি চাই মামলা বাড়ুক। থানায় মামলা বাড়লে সেটার গতি কতটুকু হয়েছে জানতে পারব। মামলা না হলে তো সর্বশষ তথ্য জানা যাবে না। চুরি হোক বা ছিনতাই, বা খুনের মামলা। এমনকি জিডি হলেও সেটার কতটুকু কাজ, কী অনুসন্ধান করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা সে তথ্য আমি নেব। তদন্তকারী কর্মকর্তা কী কাজ করেছেন সেটা আপডেট কী, তা আমাকে জানাতে হবে। আমার অফিস সবার জন্য খোলা থাকবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বন্ধ করার জন্য কলেজ পর্যায়ে প্রোগ্রাম করব। তবে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, সন্তান কার সাথে মিশে, আড্ডা দেয় এবং কোথায় আড্ডা দেয় তার সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং কমে আসবে।’
শিশু নিখোঁজের কথা বলে গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে, আবার কেউ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, অনেকে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে যাচ্ছে; তাদের অধিকাংশই আবার ঘরে চলে এসেছে। অভিভাবকদের বলব, যাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে তার ছেলে কোথায়, কী কারণে গেছে- এসব বিষয়ে নজর রাখা দরকার।’
পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধে পুলিশের যোগসাজশ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির দায় সংস্থা নেবে না। এসবের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করব। গাফেলতি থাকলে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো থানার ওসি আমার আত্মীয় না। কাজের অসংগতি হলেই তাদের জবাব দিতে হবে। কোনো প্রটোকল, গার্ড ছাড়াই বিভিন্ন থানায় আমি পরিদর্শনে যাব। আমি দুষ্টু গরু রাখব না, আমি শূন্য গোয়াল রাখব।’