কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটা চ্যানেল কী করেছে, কী দেখিয়েছে৷ কী বলতে চেয়েছে। এর সত্য-মিথ্যা দেশবাসী যাচাই করবেন। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই।
আজ শনিবার বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণে জাতিংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ শুধু অবহেলিতই ছিল না, এখানকার সম্পদ নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছিল। শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যয় করা হতো ২৫-৩০ ভাগ সম্পদ। আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৪৪ শতাংশ জনগণের জন্য ৭০-৭৫ ভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সোচ্চার হন। শুরু করেন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মুজিববর্ষে সবার জন্য ঘর দেওয়ার কর্মসূচির কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল গৃহহীনদের ঘর প্রদান কর্মসূচির আওতায় ৮ লাখ ৯২ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার গৃহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৬ পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এখন পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা মোট জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ।