পথ যেন হয় শান্তির মৃত্যুর নয় এ স্লোগানে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)-এর জন্ম আজ থেকে ২৮ বছর আগে, ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর। ওই বছর ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের।
শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ এই নিসচার পথচলায় যুক্ত হয়েছেন লাখ-লাখ কর্মী, সমর্থক, ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী। দেশ-বিদেশের ১২০টির বেশি শাখা নিসচার। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় নিসচার মাধ্যমে নিরাপদ সড়কের দাবি ধ্বনিত করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তরুণ-যুবকদের নিয়ে গড়েছেন কমিটি। নিরাপদ সড়ক চাইয়ের কর্মীরা নিজের জন্য নয়–আগামী প্রজন্মের জন্য, দেশের জন্য, সমাজের জন্য সড়ক নিরাপদ করতে সারাবছর কাজ করছেন। সড়কের যেখানে অসঙ্গতি, অনিয়ম ও ত্রুটি, সেখানেই প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করছেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছেন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের এ দীর্ঘ সময় নিসচা ও ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন মানুষের অনেক ভালোবাসা। দিন যত যাচ্ছে মানুষের ভালোবাসা তত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে নিসচার কর্মিসদস্যদের সংখ্যা। সম্প্রতি নিসচাকে ভালোবেসে ধামরাইয়ে দাম্পত্য জীবনের সূচনালগ্নে নিসচা’র সদস্য হলেন এক নববধু । নববধুর নাম তৃষ্ণা। গতকাল ১৭/০৫/২০২১ বিয়ে হয়েছে তাঁর আর এই বিয়ের আসরেই তিনি নিসচা কর্মিদের মাধ্যমে তার শশুড়বাড়ির এলাকার নিসচা শাখায় সদস্য হিসেবে যোগদান করেন।
তৃষ্ণার স্বামী ধামরাই শাখার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। তৃষ্ণা ছাত্র জীবন থেকেই মনে মনে নিসচাকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি রয়েছে তার অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তিনি নিয়মিত ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফলো করতেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইলিয়াস কাঞ্চনের নিসচার কর্মকান্ডকে সমর্থন দিতেন। তিনি অনেক আগে থেকেই এই সংগঠনের একজন কর্মি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখতেন। যদিও বিভিন্ন কারণে সেই স্বপ্নটা তার পুরণ হয়নি কখনো। তবে বিয়ের আগে যখন তিনি জানতে পারেন তার হবু স্বামী একজন নিসচার কর্মি তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন এবার তার স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করবেন। এবং সেই কথামতো তিনি বিয়ের আসরেই পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেগ নিসচার সদস্য ফরম পূরণ করে নিসচা ধামরাই শাখার একজন সদস্য হন।
নিরাপদ সড়ক চাইর সদস্য হবার পর তৃষ্ণা বিয়ের আসরে শপথ করে বলেন, আজ আমি অতন্ত আনন্দিত এই আন্দোলনে যোগ দিতে পেরে। আপনারা সকলে দোয়া করবেন সড়ক দুর্ঘটনারোধে আমি যেন আমার নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি।