বিশ্ব পরিমন্ডলে মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নামটি বার বার উজ্জ্বল হয়ে হয়ে উঠে কোরআনে হাফেজদের কারণে। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন অ্যাওয়ার্ডে নিজের সেরাটা দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ তাওহিদুল ইসলাম ওবাইদুল্লাহ। আর এরইমধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করেছেন এই কোরআনের হাফেজ।
২৫ তম হোলি কোরআন প্রতিযোগিতায় শতাধিক দেশকে পিছনে ফেলে সেরা দশের খেতাব অর্জন করেছেন তিনি। এ প্রতিযোগিতায় এবার প্রথম হয়েছেন আলজেরিয়ার প্রতিযোগী আবু বকর।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দুবাইয়ের কালচারাল অ্যান্ড সাইন্টিফিক অ্যাসোসিয়েশন হলরুমে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মনসুর বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এরআগে তাওহিদুল সহ অন্যান্য প্রতিযোগিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এসময় তিনি তাদের কন্ঠে কোরআন তেলওয়াত শোনেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশকে শক্তিশালী অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আয়োজক কমিটির সদস্য খালেদ আল জাহিদ বলেন, দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী ১০ম স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশের জনগনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রতিযোগিরা বরাবরই এই প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করে আসছে বিধায় তাদেরকে এবং যারা বিজয়ী হয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তাওহিদুল ইসলামের শিক্ষক ও রাজধানীর মারকাজুল তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছেরী বলেন, অন্যান্যদের চেয়ে তেলওয়াতের দিক দিয়ে বাংলাদেশের হাফেজরা এগিয়ে।
তাদের ভাষাগত জ্ঞান, ব্যকরণ ও উচ্চারণ শৈলী যে কাউকে আকর্ষিত করে। তবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রয়োজন সময়োপযোগী আর মানসম্মত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, পরিচর্যা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগী হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম ওবাইদুল্লাহ ঢাকার মারকাজুল তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার ছাত্র। সে ২০০৮ সালে হিফজুল কোরআন ও ২০১০ সালে রিভিও শেষ করেন।