বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাস গণনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ অবস্থায় শুক্রবার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে।
আরবি বর্ষপঞ্জি ও ইসলামি হিজরি সনের ষষ্ঠ মাস হলো জমাদিউস সানি। জমাদিউস সানির বাংলা অর্থ হলো দ্বিতীয় শীত। অর্থাৎ শীতকালের দ্বিতীয় মাস। তখনকার সময়ে আরবে জমাদিউল আউয়াল ও জমাদিউস সানি ছিল শীতকাল।
বাংলাদেশে এই মাসটি যেহেতু শীতকালে তাই এ সময় রাত অনেক দীর্ঘ ও দিন একেবারে ছোট হয়ে যায়। তাই চাইলেই রাত্রিকালীন নফল ইবাদত, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন যেকেউ।
বিশ্বনবি শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল বলেছেন। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল। -(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১১৬৫৬)
প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন, শীতকালকে স্বাগতম। কেননা তা বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হয়। ফলে তা ‘কিয়ামুল লাইল’র জন্য (রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ) সহায়ক এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে সহজ।’ (আল-মাকাসিদুল হাসানা, হাদিস : ২৫০)