করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সনাতন সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপন হয়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও সংস্কৃতি মতে, এ দিনটিতে দেবী সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিনটিকে বলা হয় ‘বসন্ত পঞ্চমী’। সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী।
করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকায় এবার আয়োজনও ছিলো কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে পূজা উপলে বিশাল উৎসবের আয়োজন হয়নি।
অনেক ভক্ত ও দর্শনার্থীরা সেখানে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। সেখানে সীমিত আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিার্থীরা এতে অংশ নেন। এবার শুধুমাত্র উপসনালয়ে বিদ্যার দেবীর আরাধানার ব্যবস্থা করা হয়।
মানিকমিয়া এভিনিউস্থ রাজধানী স্কুল মাঠে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে পূজার আয়োজন করা হয়।
সকালে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। দুপুরে সেখানে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে সন্ধ্যায় পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ সময় সনাতন সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্পিকার বলেন, ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে পূজা উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে হবে।
এদিকে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেস কাবে প্রথমবারের মতো পূজার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় প্রেস কাবের সনাতন ধর্মাবলম্বী সদস্যদের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শাখারী বাজার, তাঁতি বাজার, বনানী ও রমনা কালী মন্দিরসহ মণ্ডপে মণ্ডপে সরস্বতী পূজা উপলে দিনব্যাপী নানা আয়োজন ছিলো।
সরস্বতী পূজা উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।