পবিত্র মাহে রমজান আর কিছু দিন পরই। সিয়াম সাধনার এই মাস মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। প্রতিদিনের রুটিন মাফিক জীবনের সঙ্গে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পানাহার থেকে নিজেকে বিরত রাখা পাশাপাশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে ব্যস্ত থাকেন সবাই। তাই রোজার মাস আসার আগে থেকেই কিছু বিষয়ে রাখা প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি। এতে রোজার মাসে যেমন কাজের চাপ অনেকখানি কমে যাবে তেমনই আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে বেশি বেশি ইবাদতের জন্যও সময় পাবেন খানিকটা বেশি।
বাসার সব বয়সের মানুষের কথা মাথায় রেখে খাবারের তালিকা করুন। যাতে করে রোজার মাসেও সবার প্রয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
চেষ্টা করুন মাসের খাবার মাসেই তুলে রাখার। বাড়তি আলাদা করে খাবার মজুত করার প্রয়োজন নেই। কেবল যা যা আপনি আলাদাভাবে যুক্ত করতে চাচ্ছেন তার একটা তালিকা তৈরি করে নিন।
শুধু খাবারে নয় ওষুধের বেলায়ও খাবার সময়ের পরিবর্তন আসে। তাই রোজার মাসের একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। এতে করে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।
শুকনো খাবার যেমন মুড়ি, চিড়া, খেজুর, বাদাম, বেসন এ জাতীয় খাবার অল্প অল্প করে রোজার মাস কেন্দ্র করে তুলে রাখতে পারেন। যাদের পরিবার বড় তাদের ক্ষেত্রে মাসের খাবারের সঙ্গে একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন সব। এতে রোজার শুরুর দিকের চাপ কমে আসবে অনেকখানি।
খাবার-দাবারের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক জিনিস যেমন জায়নামাজ, তসবিহ, টুপি, ইত্যাদি সব কিছু পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এ সময় বাসায় অনেক সময় বাড়তি মেহমান আসেন। সে ক্ষেত্রে চাওয়া মাত্রই হাতের কাছে জিনিসগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়।
এছাড়া রোজার সময় নতুন করে একটু আলাদাভাবে প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে বিষয়টি।