যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মঙ্গল কামনা আর শান্তি প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনের শুরুতেই প্রার্থনায় যোগ দিতে গির্জায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঢল নামে।
সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের বাণীতে শুরু হয় প্রার্থনা। নগরীর উপাসনালয়গুলোতে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় এ প্রার্থনা। ক্রমান্বয়ে এ প্রার্থনা চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত।
এরমধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও (ফার্মগেট) এর ‘জপমালা রাণীর গির্জায় সকাল ৭টা ও ৯টায়; রমনার (কাকরাইল) ‘সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল’ গির্জায় সকাল ৮টায় এবং ইন্দিরা রোডের বাংলাদেশ ব্যাপ্তিস্ত চার্চে সকাল ৯টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন খ্রিস্টান ধর্মের নানা বয়সী মানুষ।
প্রার্থনা শেষে তারা জানান, পুরো পৃথিবী এক মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রার্থনায় দেশ ও জাতির কল্যাণসহ করোনা থেকে মুক্তির আবেদন জানানো হয়েছে যীশুর কাছে।
মহামারির কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় এ বছরও হচ্ছে না কোনও অনুষ্ঠান। তবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ঘরে ঘরে উদযাপন করছেন এ উৎসব। তাই আয়োজনে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকলেও আনন্দের কমতি ছিল না।
এদিকে গির্জা ও ধর্মপল্লীগুলোতে যীশু খ্রিস্টের জন্মের সময়কে স্মরণ করতে আলাদা করে বানানো হয়েছে গোয়ালঘর। গোয়ালঘরজুড়ে রাখা হয়েছে শিশু যীশু খ্রিস্ট, মা কুমারী মেরি, যোশেফ, রাখালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিকৃতি।
এর আগে, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয় খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরেও বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে ছিল মানুষের আনাগোনা।