নাসিম রুমি: পবিত্র শবে বরাত আসন্ন। রাতটি অত্যন্ত পুণ্যময়। এই রাতের তাৎপর্য ইসলামে স্বীকৃত। তবে একে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু কুসংস্কারও। মূলত শবে বরাত ইবাদতের রাত। একে গতানুগতিক উৎসবে পরিণত করা অনুচিত। এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত, যা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এখানে তেমনই কয়েকটি কাজের কথা তুলে ধরা হলো:-
আলোকসজ্জা করা
কোনো কোনো অঞ্চলে এ রাতে বাড়িঘর, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়। এর মাধ্যমে একটি উৎসবের আমেজ তৈরি করা হয়। অথচ এর সাথে শবে বরাতের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং এসব কাজ অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত, যা ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরা বনি ইসরাইল)
আতশবাজি ও পটকা ফোটানো
সমাজের একটা শ্রেণি আছে, যারা এই রাতে মাথায় টুপি ও হাতে তসবিহ নিয়ে আতশবাজি ছোড়ে এবং পটকা ফোটায়। অথচ এর মাধ্যমে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃদ্ধ ও শিশুরা ভয়ে বের হতে পারে না। এর কারণে যেখানে-সেখানে অগ্নিকাণ্ডও ঘটতে পারে। শবে বরাতের সঙ্গে এ ধরনের কাজের সম্পর্ক দূরে থাক, ইসলামের সাথে এসব কাজের দূরতম সম্পর্কও নেই।
হালুয়া-রুটি
লোকমুখে একটি বানোয়াট কথা প্রচলিত আছে, যা রাসূল সা:-এর হাদিস বলে চালিয়ে দেয়া হয়। তা হলো, ‘শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে।’ তবে হাদিসের সাথে এর দূরতম সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। কোনো জাল হাদিসেও এমন কথা পাওয়া যায় না।
গুনাহে জড়ানো
আমরা জেনে না-জেনে নানা গুনাহ করে ফেলি। শবে বরাতের পুণ্যময় রাতে আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তবে কিছু গুনাহ আল্লাহ তাআলার কাছে এতই জঘন্য যে এমন মহিমান্বিত রাতেও সেসব ক্ষমা করেন না। যেমন—হিংসা, জাদুটোনা, গণকে বিশ্বাস, মা-বাবার অবাধ্যতা, ব্যভিচার ইত্যাদি।