বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল কোরআন
সূরা আরাফ
মক্কায় অবতীর্ণ। আয়াত : ২০৬; রুক‚ : ২৪
১০২. আমি তাদের অধিকাংশকে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীরূপে পাইনি, বরং তাদের অধিকাংশকে পাপাচারীরূপে পেয়েছি।
১০৩. অতঃপর আমি মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফিরাউন ও তার পরিষদবর্গের নিকট পাঠালাম, কিন্তু তারা জুলুম করলো। সুতরাং বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা তুমি লক্ষ্য কর।
১০৪. মূসা বলল, ‘হে ফেরাউন! আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের একজন রাসূল।
১০৫. এটা নিশ্চিত, আমি আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া আর কিছুই বলবো না। আমি তোমাদের প্রভুর পক্ষ
আল হাদিস
৬২ নং পরিচ্ছেদ
আল্লাহ তা‘আলার বাণী “আপনার নিকট আত্বীয়দের ভয় প্রদর্শন করুন”
১২৪। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কুরআন পাকের আয়াত
অর্থাৎ আপনার নিকট আত্বীয় এবং তাদের মধ্যেও বিশেষ করে নিজের গোত্রের লোকদের সাবধান করো। নাযিল হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বের হলেন এবং সাফা পাহাড়ের উপর উঠে, “ইয়া সাবাহাহ” (সকালবেলার মহাবিপদ) বলে চিৎকার করে উঠলেন, এ আওয়াজে সবাই সন্ত্রস্ত হয়ে বলে উঠলো, এভাবে কে ডাকছে? এরপর সবাই তার নিকট হাজির হলে তিনি বললেন, আচ্ছা আমি যদি বলি যে, পাহাড়ের অপর পাশে একদল অশ্বারোহী সৈন্য তোমাদের উপর হামলার জন্য তৈরি হয়ে আছে, তাহলে কি তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে না? সবাই বললো, আপনি কখনো মিথ্যা বলছেন এমন অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে দোযখের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি। একথা শুনে আবু লাহাব বলে উঠলো, তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কি এটা বলার জন্যই আমাদেরকে জমায়েত করেছো? এ কথা বলে সে চলে গেল। এ সময় নাযিল হলো “তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাব” আবু লাহাবের দু’হাত ধ্বংস হয়ে গেছে। অর্থাৎ আবু লাহাব ধ্বংস হয়ে গেছে। (বুখারী-কিতাবুল তাফসীর)