গতকাল বুধবার (১৯ জুন) হাজিদের প্রথম কাফেলা মদিনায় পৌঁছেছে। তাঁরা পবিত্র মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ে নির্ধারিত সময়ে পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার মিনায় তিনটি জামারাতে পাথর নিক্ষেপের কার্যক্রম শেষ করে পবিত্র কাবাঘর বিদায়ী তাওয়াফ করেন।
এদিকে হজের পর মদিনায় হাজিদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
হাজিদের অবস্থান নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মদিনার গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন সুলতান। গতকাল পবিত্র মসজিদে নববিতে হাজিদের বরণ করেন তিনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১৯ জুন) চলতি বছরের হজ পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মক্কার ডেপুটি আমির ও কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল। তিনি বলেন, ‘এই বছরের হজ মৌসুমের সাফল্য ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত।
মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি যে আমরা আল্লাহর মেহমানদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি।’
এ সময় তিনি আগামী হজ মৌসুমের ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা অবিলম্বে শুরু হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের সেবায় অর্জিত সাফল্য নতুন পর্বের সূচনা মাত্র। শিগগির আগামী বছরের হজ মৌসুমের পরিকল্পনার কাজ শুরু হবে।’
পবিত্র হজ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ বিধান।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা করা’। হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান সব মুসলিম পুরুষ ও নারীর ওপর জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।
সৌদি সরকারের হিসাব অনুসারে, এ বছর ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন হজ করেছেন। এর মধ্যে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩১০ জন বিদেশি এবং দুই লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী রয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য গেছেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এখন পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে।