সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি সাংবাদিকতাকে সত্যের সঙ্গে কাজ করার ন্যায় তুলনা করেন।
শনিবার (০৯ মার্চ) বিকালে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পিআইবি’র সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। তাই সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি থাকে বেশি। এদিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা।
প্রধান অতিথি বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা। এজন্য সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভাল তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং দর্শক,পাঠক ও শ্রোতার নিকট ততটা গুরুত্ববহন করে। তাই নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা বাঞ্চনীয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করা আবশ্যক।নতুবা পাঠক,দর্শক ও শ্রোতা উপযোগী প্রতিবেদন তৈরি দুরুহ হয়ে পড়বে।
তিনি নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্যান্য বিষয়াদি খুব সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার জ্ঞান আহরণ করা উচিৎ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিনিয়র সাংবাদিক মানস ঘোষ অপসাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিগন্ত নিয়ে কথা বলেন।
মানস ঘোষ আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যকে আমরা অনেক সময় নিউজ হিসেবে মনে করি। কোনটি সংবাদ আর কোনটি সংবাদ নয় এই পার্থক্য করার মত সচেতনতা সৃষ্টি করা সাংবাদিকের কাজ। তাহলে জনমনে বিভ্রান্তিরোধ করা সম্ভব হবে।
পিআইবির পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, নিজেদের সমৃদ্ধ করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের প্রেস ইনস্টিটিউট তাঁরই কন্যার হাত ধরে জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানের সভা প্রধান পিআইবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর বলেন সাংবাদিকতা পেশা একটি মহান পেশা। এই পেশায় কর্মকে যথাযথ মূল্যায়ন করলে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব । তিনি আরো বলেন, পিআইবি’র সনদের একটি আলাদা মূল্যায়ন রয়েছে।যারা সনদ পেলেন এবং ভবিষতে পাবেন উভয়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য এর যথাযথ প্রয়োগ করা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে পিআইবি’র অধ্যয়ন শাখার প্রভাষক এবং সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী শুভ কর্মকারের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পিআইবি’র অধ্যয়ন শাখার সহকারী অধ্যাপক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পংকজ কর্মকার ও প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন।
অনুষ্ঠানে পিআইবি’র সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ৩৪ জন নবীন শিক্ষার্থী ও পূর্ববর্তী ব্যাচের তিনজন কৃতী শিক্ষার্থী এবং তিনজন শ্রেণীকক্ষে সর্বাধিক উপস্থিত শিক্ষাথীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।