এ কে আজাদ: জুটন চৌধুরী। সাংবাদিক। আমাদের সবার প্রিয়জন ও একজন মেধাবী চলচ্চিত্র সাংবাদিক ছিলেন জুটন চৌধুরী। সাংবাদিকতা জীবনে, নিজ যোগ্যতা এবং গুণে গোটা চলচ্চিত্রশিল্পের সুহৃদ এবং পরমবন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন । সদাহাস্যজ্বোল, সজ্জন, মিশুক স্বভাবের অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন জুটন চৌধুরী।
আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি (১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার পর), মরণব্যাধি কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। প্রয়াণ দিবসে জুটন চৌধুরীর’র স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
জুটন চৌধুরী ১৯৭২ সালের ৩১ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা স্বর্গীয় রবীন্দ্রনাথ দাস, মা হিরনময়ী চৌধুরী। তিনি লেখাপড়া করেছেন কিশোরগঞ্জ স্থানীয় স্কুল, তাড়াইল কলেজ কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পেশাগত জীবনে জুটন চৌধুরী কাজ করেছেন দৈনিক ভোরের কাগজ, আনন্দধারা ও সর্বশেষ দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং বিনোদনচিত্র ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।।
জুটন চৌধুরী জাতীয় প্রেস ক্লাব-এর স্থায়ী সদস্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর সাবেক নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিআরএ)-এর সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিঃ-এর সাবেক নেতা ও স্থায়ী সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সদস্য এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
ব্যক্তিজীবনে জুটন চৌধুরী, ২০০৪ সালে স্নিগ্ধা তপাদারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে মেটলাইফে ও বি এস এম এম ইউতে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। তাদের এক ছেলে দিবস ও এক মেয়ে দ্বিতীয়া পড়ালেখা করছে।
একজন সৎ, মেধাবী-প্রতিভাবান সাংবাদিক ছিলেন জুটন চৌধুরী। চলচ্চিত্র তথা বিনোদন সাংবাদিকতার অতি আপনজন, সুপরিচিত মুখ, নিজের কর্মগুণে যিনি ছিলেন জনপ্রিয় একজন সাংবাদিক। মানুষ হিসেবেও চলচ্চিত্রের লোকদের এবং চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন তিনি।
একজন নিবেদিত প্রাণ ও সদাকর্মঠ চলচ্চিত্র সাংবাদিক শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে না থাকলেও, তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ের গহীনে- অনন্তকাল।