বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর ৫৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ইফতার মাহফিল উদযাপিত হয়েছে। পহেলা এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রধান মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিধি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এমপি। বক্তব্য রাখেন ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, বাচসাসের সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, ডিইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক এডহক কমিটির সদস্য সচিব কামরুল হাছান দর্পন, ডিআরইউ সভাপতি সৈবদ শুকুর আলী শুভ, চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি প্রমুখ।
সভাপরিচালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ। সভার শুরুতেই ৫৬ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাচসাস সদস্য গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়-মাসুক হেলাল, পাভেল রহমান, শিহাব সরকার, আনজীর লিটন ও হাসান হাফিজকে। ইফতারে পর সংগঠনের নেতৃবৃন্ধকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন বাচসাস সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, এডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক হাবিবুল হুদা পিটু।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের বিপুল উপস্থিতি, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে পুরো আয়োজন আনন্দমুখর হয়ে উঠে।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণে পুরো পরিবেশ উৎসবমুখর ও মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত সকলেই এমন একটি আয়োজন করার জন্য বাচসাস কমিটির প্রশংসা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাচসাস’র সভাপতি রাজু আলীম এবং সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ জানান- বাচসাস প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৮ সালের ৫ এপ্রিল। এবার মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা একটু আগেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করেছি। বাচসাস’র সকল সদস্য ও শুভার্থীদের জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। শ্রদ্ধা জানাই ওবায়েদ-উল-হক, এস এম পারভেজ, আজিজ মিসির, ফজল শাহাবুদ্দিন ও আলমগীর কবির’র প্রতি। যাঁরা ৫৬ বছর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভালোবাসার প্রাণের সংগঠনটিকে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোর অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন সংগঠন। ৫৬ বছর বয়সী এই সংগঠনটির জন্ম তৎকালিন চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত।
বিনোদন সাংবাদিকতা বলতে তখন চলচ্চিত্রকেই বোঝাতো। সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে বিনোদন সাংবাদিকতা শুধুমাত্র চলচ্চিত্রে সীমাবদ্ধ নেই। ফলে এখন টোটাল বিনোদন জগত তথা সাংস্কৃতিক সাংবাদিকতা যারা করেন তারা প্রত্যেকেই এই সংগঠনের সদস্য হতে পারেন। তাই বাচসাসের ব্যাপকতাও এখন বিশাল। ‘বাচসাস পুরস্কার’ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রদান করা শুরু হয়। এটা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পুরস্কার। জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার এই সংগঠনের প্রতীক। এটা শক্তি ও সাহসিকতার প্রতীক। বাচসাস পুরস্কারেও এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাচসাসের সহ-সভাপতি অনজন রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর আওয়াল। নির্বাহী সদস্যরা হলেন লিটন এরশাদ, মাঈনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লিটন রহমান, আনিসুল হক রাশেদ, আমিনুর রহমান লিটন প্রমুখ।