বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, শুধু ইসরাইলের পণ্যই নয় ইসরাইলকেই বয়কট করতে হবে।তিনি বলেন ইসরাইল মানবতার দূশমন। সারা বিশ্বের উচিত এদের বয়কট করা।
আজ বিকেলে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে পেশাজীবীদের মানববন্ধনে তিনি এসব বলেন। পরে বিপুল সংখ্যক পেশাজীবী নয়াপল্টনে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র্যালিতে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করে।
এসময় অন্যদের মধ্যে পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড.এমতাজ আহমেদ, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস,প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমাম,রফিকুল ইসলাম,ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ,জাহানারা সিদ্দিকী,ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আকন্দ,বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব,হাফিজুর রহমান,সাংবাদিক সাঈদ খান,রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের এনেতা বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর ফলে গাজা ও রাফায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি বরং ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে এ হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। আমরা ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্তঝরুক সেটা দেখতে চাইনা।
বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে অথচ বিশ্বের শক্তিমান রাষ্ট্র গুলো নীরব, এ কেমন মানবতা! নাকি মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই? তিনি বলেন ফিলিস্তিন মুসলিম কান্ট্রি বলেনই বিশ্ব মোড়লরা চুপ করে আছে। এদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।
পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজা ও রাফায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।