বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ২৮ জুলাই ছিল বিষণ্ণ ও দুর্বিষহ এক দিন। এই দিনে ঘোষণা হয় গ্রাফিতি কর্মসূচি। শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কাজ। এই দিন আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখলাম।
দেখলাম ছাত্ররা টাকা সংগ্রহ করে রংতুলি কিনলেন, রং মেশাচ্ছেন, দেয়াল পরিষ্কার করছেন, তারপর যা হলো তা এককথায় অবিশ্বাস্য, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। জুলাইয়ের গ্রাফিতি স্বৈরশাসকের চেয়ারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দ্রোহের গ্রাফিতি চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের দেয়ালজুড়ে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আঁকতে থাকলেন গ্রাফিতি। কোনোটি দক্ষ হাতে আবার কোনোটি একেবারে কচি হাতের গ্রাফিতি।সারা বাংলাদেশ হয়ে উঠল এক গ্রাফিতি। সারা বাংলাদেশ জেগে উঠল দ্রোহের স্লোগানে, ফ্যাসিবাদের পতন চেয়ে, রক্তপাত বন্ধ চেয়ে একটি মানবিক বাংলাদেশের জন্য। জেগে উঠল বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রদের পাশাপাশি যুবকরা, আমাদের মা-বোনেরা, বাবারাও আসলেন।
একটা গ্রাফিতি যে কিভাবে বিপ্লব ঘটাতে পারে, সেদিন আমরা সেটা দেখেছি। বুলেটের বিপরীতে গ্রাফিতি। বাংলাদেশের ইতিহাস, জুলাইয়ের ইতিহাস। একদিকে বুলেট, তপ্ত বুলেট, খুনি হাসিনার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে নির্যাতন, আরেকদিকে ছাত্ররা শুধু দ্রোহের গ্রাফিতি আঁকলেন।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবখানেই গ্রাফিতি আঁকলেন।
এ যেন এক অন্য ধরনের বিপ্লব, নীরব বিল্পব। বুলেটের চেয়ে গ্রাফিতি যে কত শক্তিশালী, সেটাই জুলাই বিপ্লব প্রমাণ করে দিয়েছে। একেকটি গ্রাফিতি ছিল কামানের চেয়ে শক্তিশালী।