বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এরমধ্যে চারজন গুরুতর আহত হয়ে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেছে চলচ্চিত্র, বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে এই মানববন্ধনে বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাজ্জাদ আলম তপু, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাচসাস’র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, টিসিএ সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন তানভীর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবন, রিপোর্টার্স এগেইন্স করাপশন র্যাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মাহবুব সৈকত, টিসিএ সাবেক সভাপতি শেখ মাহবুব আলম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, বাচসাস নেতা মনিরুল সহ ডিইউজে, ডিআরইউ’র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাচসাস সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুয়ায়রা মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রুহুল সাখওয়াত, রুহল আমিন ভূইয়াসহ আরো অনেকেই।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা। অবিলম্বে দোষীদের শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল, শাস্তি এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা। একই সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয় অপসারণ এবং অনিবন্ধিত তথাকথিত ভুয়া সাংবাদিক, মোবাইল ইউটিউবারদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ের জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।