চট্টগ্রামে ৫টি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধের বিষয়ে নোয়াব যে বিবৃতি দিয়েছে তা দুঃখজনক। নোয়াবের বিবৃতিতে ইউনিয়নকে দায়ী করে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। সিইউজের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়ার বিষয়ে বার বার চিঠি দিয়ে মালিক পক্ষকে জানানো হয়েছে। আলোচনার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অনুরোধ করা পরও তারা কোন গুরুত্ব দেয়নি। বিএফইউজে মনে করে, বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে নোয়াবকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল,মহাসচিব শাবান মাহমুদ ১১ আগস্ট এক বিবৃতিতে বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে নোয়াবকে এগিয়ে আহবান জানিয়ে বলেন– নোয়াব তাদের বিবৃতিতে বলেছে, পত্রিকা প্রকাশ মালিক ও সাংবাদিকদের যৌথ প্রয়াস। এখানে দুই পক্ষের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়া ও অনিয়মিত থাকার পরও গণমাধ্যম কর্মীরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। এমন কী করোনার সময়ে ন্যূনতম সুরক্ষা ছাড়াই দিন রাত কাজ করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। প্রাচীনতম পত্রিকাটিতে করোনাকালে রাতের শিফটের সাংবাদিক-কর্মচারীদের অফিস থেকে যাতায়াতের জন্য কোন পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়নি। কোন কোন পত্রিকায় গত পাঁচ বছরে কোন ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি। দেয়া হয়নি সরকার ঘোষিত মহার্ঘভাতাও। কোন পত্রিকায় মাসের পর মাস বেতন ভাতা বকেয়া রাখা হয়েছে। বিগত ঈদুল ফিতরের সময় চট্টগ্রামের ওই ৫টি পত্রিকার মধ্যে তিনটিতে অর্ধেক বোনাস দেয়া হয়েছে। দুইটি পত্রিকায় কোন বোনাসই দেয়া হযনি। ঈদুল আযহার সময়েও অর্ধেক বেতন ও অর্ধেক বোনাস দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ঈদ উৎসবের প্রাক্কালে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে কোন ধরণের ঘোষণা ছাড়াই মালিক কর্তৃক একসঙ্গে ৫টি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ রাখার ঘটনা নজিরবিহীন। বিএফইউজে নেতৃদ্বয় বলেন, সাংবাদিক-কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত হওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে সংকট নিরসনে বিশ্বাসী। নোয়াবকে এই সত্যটি মাথায় রেখে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় তারা চট্টগ্রামে যে আগুন জ্বালিয়েছে, সারাদেশের গণমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য। যা কারো কাম্য নয়।