ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ ও পটভূমি নিয়ে সংকলিত স্মরণিকা “মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্প কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার।
ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তিনি স্মরণিকাটির মোড়ক উন্মোচন করলেন । এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে সরাসরি উপস্থিত থেকে মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় সম্মানীত অতিথিদের মধ্য বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন, মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.ফখরুল আলম আক্কাছ, জেলা পরিষদের প্যানেল-মেয়র মির্জা সুলাইমান , উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টু, শিক্ষাবিদ আবদুল বাসেত, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী শাহিন, পৌর আ,লীগের সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ, পৌর আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ সুমন মোল্লা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অরুনিমা পরিবারের সভাপতি ডাঃ এবি সিদ্দিক।
সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন সম্পাদিত “মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গল্পকথা” স্মরণিকাটি প্রকাশ করেছে সাপ্তাহিক নিরপেক্ষ অর“ণিমা পরিবার। চার রঙের কভার ও অফসেট পেপারে সাদা-কালো ছাপায় ১১৬ পৃষ্ঠার স্মরণিকাটির সম্পাদনা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন সাংবাদিক, অধ্যাপক সত্যজিৎ দাস ধ্র“ব, সাংবাদিক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা , সংগঠক মো. মফিজুল ইসলাম মাহফুজ, সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, সাংবাদিক আলহাজ্ব সজীব আহমেদ ও সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা তুলে ধরেন। মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা আক্কাছ ও মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সুলাইমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতিময় কথা জানান। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক মুক্তিযুদ্ধে দেখা কিছু স্মৃতি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। বক্তারা সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিনকে ধন্যবাদ দেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা নিয়ে বই প্রকাশ করা একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি আমিন করতে পেরেছেন। বইটি ভৈরবের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও গল্প কথা বইটির মোড়ক উদ্বোধন করে তার বক্ত্যবে বলেন, ভৈরব আমার পরিচিতির জায়গা। আমার নানার বাড়ী আশুগন্জের চারতলা গ্রামে। আমার বড় খালার বাড়ী ভৈরব শহরে। ছোট বেলায় ঢাকা আসার সময় প্রায় সময় লঞ্চে ভৈরব এসে বিরতি দিতাম। মেঘনা নদী আমার খুব পরিচিত। ছোট ভাই আসাদুজ্জামান ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে অনেকদিন যাবত সাংবাদিক পেশায় জড়িত। তাই ভৈরবের সব খবর আমি দেখি এবং অবগত আছি। আমার বড় খালা খালু ছোটবেলায় আমাকে অনেক আদর স্নেহ করেছে। আমার খালার বড় ছেলে হিসেবে আমি মনে করি। ভৈরবের কোন দাওয়াত পেলে আমি ফেলতে পারিনা। ভৈরব থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বই প্রকাশ করায় আমি সম্পাদক মোস্তাফিজ আমিনসহ অরুনিমা পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম এদেশে হয়েছে বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশে বাস করছি। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও নীতিতে পথ চলার পরামর্শ দেন। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা এখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশের স্বাধীনতা ভুলন্ঠিত হতে যাচ্ছিল। ১৯৯৬ সালে আ,লীগ ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার শুরু করেন। তিনি বলেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে ডিজিটালে রুপান্তিত করতে কাজ করছেন। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। করুনা না থাকলে আমি ভৈরবে এসে অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগদান করে বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করতাম। ভৈরবে আসতে না পেরে, এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলকেসহ বইয়ের প্রকাশক, লেখককে তিনি ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানার সাথে লাইভে কথা বলে তাকে ধন্যবাদ দেন।
অনুষ্ঠানে অনলাইন জোম ব্যবহারে সহযোগীতা করেন সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম সবুজ, রাজীবুল হাসান, মিলাদ হোসেন অপু, আল- আমিন নাজির। আজকের অনুষ্ঠানে স্হানীয় সাংবাদিকবৃন্দসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি উপস্হিত ছিলেন। তারপর রাত ১০ টায় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন