একুশের বইমেলা উপলক্ষ্যে বেরিয়েছে লেখক-গবেষক জাহিদ রহমানের লেখা প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘খামারপাড়ার হাট’। প্রায় শতাধিক ছড়া রয়েছে বইটিতে। মুক্তিযুদ্ধ এবং গ্রামের হারিয়ে যাওয়া অনেক বিষয় উঠে এসেছে এই ছড়ার বইটিতে।
‘খামারপাড়ার হাট’, ‘অধিনায়ক আকবর হোসেন’, উদাস দুপুর বেলা’, ‘পদ্মাসেতু,’ ‘একটি পাখি’, ‘কুমার নদ,’ ‘ছায়া আর মায়া’, ‘আয় পাখি আয়’-এরকম নানান শিরোনামের ছড়া রয়েছে। মাগুরা অঞ্চলের কুমার নদ, গড়াই, ফটকি নদী নিয়েও রয়েছে ছোট বড় আকর্ষণীয় সব ছড়া। ‘খামারপাড়ার হাট’ মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। হাটের দিন যেখানে নানা পণ্যের সমাহার ঘঠে। কোটি কোটি টাকার অর্থনৈতিক লেনদেন হয়।
বইটির প্রথম ছড়াটির নাম ‘খামারপাড়ার হাট’। মূলত এই হাটের স্মৃতি ধরেই ছড়াটি লেখা। বইটির নামকরণও হয়েছে বই-এর প্রথম ছড়ার শিরোনাম দিয়ে। জাহিদ রহমানের লেখা প্রথম এই ছড়া গ্রন্থের মুখবন্ধ লিখেছেন এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত ছাড়াকার, একুশে পদক প্রাপ্ত লুৎফর রহমান রিটন।
মুখবন্ধের এক জায়গায় তিনি বলেছেন, ‘জাহিদ তার ফেলে আসা গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল মানুষের যাপিত জীবনের প্রাত্যহিক নানা অনুষঙ্গকে খুব সহজিয়া আটপৌড়ে উপস্থাপনায় ছড়ার ভেতরে মূর্ত করে তুলেছে। পাঠকের সামনে সে তার রচিত ছড়াগুলোকে এমন আন্তরিক এবং বৈঠকি আবেগে আউরে গেছে একের পর এক, সচেতন পাঠক বিমোহিত না হয়ে পারবেন না।
আমাদের ফেলে আসা জীবনের অনেক ঘটনা- পারিপাশ্বের চিত্রনাট্য উঠে এসেছে জাহিদের বর্ণনায়। তার বিশেষ করে গ্রামজীবনের ঘটনাসমূহের কোনো কোনো বর্ণনায় এমন কিছু শব্দ রয়েছে যে শব্দগুলো পাঠক হিসেবে আমাকেও আপ্লুত করেছে, করেছে স্মৃতিকাতর।’ ‘খামারপাড়ার হাট’ বইটি প্রকাশ করেছে কিশোর লেখা প্রকাশন। বইমেলার লিটিল ম্যাগ চত্বরের ৬৮ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এই ছড়ার বইটি।