পরীক্ষিত চৌধুরী
***************************
খোয়াব কিনি, খোয়াব বেচি,
ঘরে বাইরে খোয়াব বানাই,
কুচকুইচ্যা কালা রাইতেও বারোভাতাইরা জোছনা নামাই।
খোয়াব বান্ধি, খোয়াব রান্ধি, পুষি বেশুমার খোয়াব
খোয়াবের আয়নায় দেহি আমি লালবাগের নোয়াব।
বেশরম খোয়াব যহন তহন রঙের ঘুড্ডি ওড়ায়
মনে চায়, সুমুন্দির পুতেরে দুনিয়া থেইক্কা লৌড়াই।
মাঝ রাইতেও চক্ষের ওপর রৈদ উপচাইয়া পড়ে
পেয়ারের জোছনা মান কইরা দুরে দুরে সরে।
তামামআসমান নাইমা আসে বুড়িগঙ্গার ঘাটে
নষ্ট কালো স্রোতের বানে বেবাক জিন্দেগি কাটে।
গতরের উঠানে আগুন জ্বলে, কইলজা পুইড়া ছাই
তাড়ির মইধ্যে খোয়াব চুবাইয়া হাড়ি ভইরা খাই।
রাত বিরাইতে সুনসান শহর পিরীতের ঘর বান্ধে
নেড়িগুলাও ভাগাড় থুইয়া আমার লগে কান্দে।
মাথা বনবন, পাও নড়ে না, টালমাটাল হাঁটি;
আগাইতে গেলে পিছাইয়া যাই, নইড়া ওঠে মাটি।
রাস্তার মইধ্যে আত্কা ওড়ে প্রজাপতির ঝাঁক
রঙিন ডানায় জোনাক নাচে, মাথায় ওঠে পাক।
জোনাক, তুমি পিদিম জ্বালাও, দেখাও জংলাবন
পাগলা হাওয়া শরম ছুটায়, চেনায় গুপ্তধন।
আসমান-জমিন সাক্ষী রাইখা রঙের আঁচল সরায়
মাতাল রাইত রাক্ষস হইয়া বিহানের দিকে গড়ায়।