বলেছিলে …
ঠোঁটের একটা তেল ছবি তুমি শুরু করেছিলে…
আসলে আর জানা হয়নি শেষ হয়েছিল কিনা!
আমার ঠোঁটের মহুয়া রস আর নেই বলে
ঠোঁট দংশনে কারো বিষ উঠে যাক চাইনি।
তবুও হঠাৎ মনে হয় ,একদিন ছিল তো কানশিশা ভরা মধু
চুমুতে মিলেমিশে সোমরসে ফুঁসে ওঠা কমলার কোয়া। গোলাপ পাপড়ির আঁকার,
তোমার কাম আর কহরের দাবী মিটাতো
অনায়াস সারল্যে।
বলেছিলে…
তুমি ভাস্কর্য শুরু করেছিলে ঠোঁট দুটোর
জানা হয়নি আসলে কত দূর এগুলো…
কমলিকা দেয়া নাম তবুও খরায় ভরা নদী
ঠোঁট নয় যেন রুখা সুখা চৌচির দুপুর।
রসহীন রক্তহীন অদ্ভুত বিক্রিয়ার রসায়ন
বলেছিলে…
ঠোঁট দুটোর মাঝ বরাবর নিচের অংশে একটা ট্যাটু করে দেবে, ডিজাইন করছো…
জানা হয়নি আসলে ডিজাইনটা করেছিলে কিনা
আদৌ…
অবশ্য এমনিতেই একটা চৌচির দাগ হয়ে গেছে
এক্সিডেন্ট হবার পর নিচের ঠোঁট টাতে গোটা সাতেক সেলাই পড়লো
বলেছিলে…
পদ্ম ফুলের কষ দিয়ে লিপিষ্টিক বানাবে…
শিখেছিলে চৈনিক ভেষজ বই দেখে
জানা হয়নি…
মনে আছে তোমার একজোড়া ঠোঁটের মায়া ….
মনে আছে এই ঠোঁটে ডুবে মরবার সাধ
এখনো অপেক্ষায় আছে এক জোড়া ঠোঁট
অতীত ছুঁয়ে বর্তমানের পথ চেয়ে।