“ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিরলসভাবে কাজ করেছেন প্রান্তিক মানুষের কাছে মানসম্মত আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে। বর্তমানে নিয়োজিত আছেন রবীন্দ্র ভাবনা, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা বিষয়ক গবেষণায়। তাঁর কর্ম, চিন্তা এবং নিরলস গবেষণা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বুঝতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণে অমূল্য ভূমিকা রাখাছে।”- বলেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকাররের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরিদুল হক খান দুলাল, এমপি।
আজ (মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ঢাকায় ড. আতিউর রহমানের লেখা ‘ওরে মন হবেই হবে: বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ ও সমকালীন বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের কার্যালয়ে জাহিদ রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে লেখক অধ্যাপক আতিউর রহমানসহ প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজতাত্ত্বিক ও গবেষক- খন্দকার সাখাওয়াত আলী; প্রকাশনা সংস্থা বাংলা প্রকাশের কনসালটেন্ট- রহীম শাহ; এবং সোনালী ব্যাংকের পরিচালক এবং এক্সপার্টস একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক চৌধুরী।
জনাব ফরিদুল হক খান দুলাল আরও বলেন যে, ড. আতিউর রহমান সমকালিন আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকেন, আর তাই সঙ্কট উত্তরণের পথনকশা তাঁর লেখনির মাধ্যমে সহজভাবে হাজির করেন। এ কারণেই পত্র-পত্রিকায় তাঁর পরামর্শমূলক লেখাগুলোকে প্রায়শই জাতীয় নীতিতে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। প্যানেল আলোচনায় খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন যে, ড. আতিউর রহমানের সময়োপযোগী ও গবেষণানির্ভর বেশ কিছু লেখার সঙ্কলন হিসেবে যে বইটি প্রকাশিত হলো তা নীতি-নির্ধারক বা গবেষকদের যেমন কাজে লাগবে, তেমনি এটি পড়ে উপকৃত হতে পারেন তরুণ পাঠকরাও।
ড. আতিউর গভর্নর হিসেবে যেভাবে প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে আর্থিক খাতকে চালিত করেছেন, তাঁর লেখালেখিও একইভাবে তরুণ সমাজকে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ইশতিয়াক চৌধুরী।
ধন্যবাদসূচক বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের আলোকে দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রযাত্রা পরিচালনা করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলামগুলোতে এই সাফল্যের গল্পগুলো এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো সহজ-সরল ভাষায় তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন বলে জানান। দেশের স্বার্থে যাঁরা বিভিন্ন সময় প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের স্মরণে এই বইটি নিজের কলেজ জীবনের সহপাঠি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলিকে উৎসর্গ করেছেন ড. আতিউর রহমান।