আজকাল ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো হাই হিল। ফ্যাশন সচেতন সব নারীর কালেকশনে থাকে উঁচু উঁচু হিলের জুতা।
ফ্যাশনের বিষয়ে সচেতন হলেও, পায়ের সুস্থতার বিষয়ে কিন্তু করা হচ্ছে অবহেলা।
কারণ, সু বা স্লিপারে পা সমান্তরালভাবে থাকে বলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে হিল জুতোয় পেছনের হিল অংশ সামনের অংশের তুলনায় উঁচু তাই শরীরের সব ভার পায়ের সামনের অংশে পড়ে।
দীর্ঘদিন হাইহিল ব্যবহারে যেসব সমস্যা হতে পারে:
• পায়ের পেশিতে ব্যথা
• ব্যাক পেইন
• হাঁটু, ঘাড় ও পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা হতে পারে।
• পায়ের অবস্থান স্বাভাবিক থাকে না, এতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।
• অনেক সময় রক্তনালি ছিঁড়েও যেতে পারে।
• হাঁটু, গোড়ালি, হিপ, মেরুদণ্ড, পায়ের পেশিতে চাপ পড়ে ফলে ক্রোনিক ডিসঅর্ডার দেখা দেয়।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বছরে গড়ে দুই হাজার নারী হাই হিল পরার কারণে পা মচকে যাওয়া ও পায়ের সমস্যায় ভোগেন।
লন্ডনের কলেজ অব পডায়েট্রির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হাই হিল পরার এক ঘণ্টার মধ্যেই বেশিরভাগ নারীদের পায়ে ব্যথা শুরু হয়। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশই সঠিক মাপের হিল না পরার জন্য পায়ের ব্যথায় ভোগেন।
দীর্ঘদিন হিল পরার কারণে স্নায়ুতে ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে হিল যত বেশি উঁচু হয়, শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সব সময় হিল না পরাই ভালো। যদি পরতেই হয় তাহলে একের অর্ধেক বা দুই ইঞ্চির বেশি হিল পরা ঠিক নয়। হাই হিল পরার আগে ৩০ সেকেন্ড ও খোলার পরে ৩০ সেকেন্ড মেঝেতে পা টান করে বসে আলতো করে পায়ের আঙ্গুল একে একে সামনে, পেছনে নিয়ে পাঁচবার ব্যায়াম করতে হবে।