শীতের সময় ত্বকের সঙ্গে শরীর নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হবে। অন্যথায় পিছু নেবে একাধিক জটিল অসুখ। তবে এই সময়ে নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীর সুস্থ থাকবে অনেকটাই।
পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন এ থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ।
এই সময় একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠে। আর এসব থেকে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এ কাজে সাহায্য করতে পারে পালং শাক। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার।আর এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে কমে প্রদাহ। যার ফলে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই পালং শাক রাখার চেষ্টা করবেন।
ওজন কমাবে
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন পালং শাকের ওপর।কারণ, এতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে খিদে পায় কম। আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। আর কম খেলে বা হাই ক্যালোরি খাবারের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নিলেই কমবে ওজন।
পেট ভালো রাখবে
শীত মানেই পেট খারাপ হবেই। এই সময়ে আজেবাজে খাবার খেলেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি পিছু নিতে পারে। এমনকি বিরক্ত করে কোষ্ঠকাঠিন্যও। তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পালং শাক। এই শাকে উপস্থিত ফাইবার অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং বাড়ায় ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা।
সুগার কমাবে
ডায়াবেটিক রোগীদের যে ভাবেই হোক সুগার লেভেল কমাতে হবে। আর সেই কাজে সাহায্য করতে পারে পালং শাক। এই শাকে উপস্থিত রয়েছে আলফা লিপোলিক অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। যার ফলে সুগার বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। এমনকি এই শাকের ক্যালোরি ভ্যালুও কম। এ জন্য ডায়াবেটিক রোগীরা অনায়াসে এই শাক খেতেই পারেন।
চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাবে
শীতের সময় অনেকেরই চুল ও ত্বকের হাল বিগড়ে যায়। তবে আপনি যদি প্রতিদিন ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ এ পালং শাক খান, তাহলে অনায়াসে চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারবেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে এখন থেকে নিয়মিত পালং শাক খাওয়া শুরু করে দিন।